এমপি আয়েন এর বিরুদ্ধে কথা বলায় সাবেক নারী ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার ও হয়রানির অভিযোগ…More
বিডি নিউজ২৩/BD News23: রাজশাহীর প্রবা মোহনপুর এর সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিনের জলসাঘর জমি দখল এবং সংসদ সদস্য হবার আগে ও পরে সম্পদের নানান হিসেবে নিকেশ ইতিমধ্যেই প্রচারিত হয়েছে দেশের বড় বড় কয়েকটি গণমাধ্যমে। আর তাতে বক্তব্য দিয়েছিলেন সাবেক নারী ইউপি সদস্য শেখ হাবিবা। এরপর স্থানীয় একটি দ্বন্দ্ব সমাধানের উদ্দেশ্যে থানায় গেলে গ্রেপ্তার হল সাবেক ওই নারী ইউপি সদস্য শেখ হাবিবা।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে যে, সাবেক ইউপি নারী সদস্য শেখ হাবিবাকে গ্রেফতার করার পর, এক নারীকে দিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করান সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী। এ মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
শেখ হাবিবার স্বামী একজন চা বিক্রেতা। নাম মাসুদ রানা তিনি বলেন, দিনের পুরোটা সময় আমার চা বিক্রি করতে দোকানে কেটে যায় রাতে সেদিন বাসায় ফিরে আমার স্ত্রীর সাথে কথা হয় আমার স্ত্রী শেখা বীমা তিনি আমাকে বলেন আগামীকাল মঙ্গলবার থানায় যাব একটা দরবার আছে। এরপর রাতে আমার স্ত্রীর নাম্বারে ফোন করলে তার নাম্বার বন্ধ পায়। পরের দিন বুধবার থানা থেকে আমার কাছে ফোন করে আমাকে থানার লোকজন জানায় যে আমার স্ত্রী নাকি তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে সেই কারণে তাকে থানায় বন্দী করে রাখা হয়েছে এমনকি আমার স্ত্রীকে মারধর করা হয়েছে এমনটাও আমি শুনেছি। পরে থানায় যাই। ওসি ছেড়েও দিতে চেয়েছিলেন। পরে দেখি এমপি আয়েন উদ্দীনের পিএস একরামুল হক বিজয় দু’জন নারীকে নিয়ে থানায় এসেছেন। তাদের একজন ডলি বেগমকে দিয়ে প্রতারণার মামলা করান।
মাসুদ রানা বলেন, তারা মামলায় অভিযোগ করেছেন, হাবিবা নাকি দেড় লাখ টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছে। এ অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা। ডলি এমপির লোকদের ঘনিষ্ঠ। এমপির লোকেরা যা বলবে তা-ই করবেন। এমপির পিএস তাকে থানায় এনে মামলা করিয়েছেন। এমপির বিরুদ্ধে পত্রিকায় ও টিভিতে বক্তব্য দেয়ায় তাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটা চক্রান্ত। সাজানো নাটক। ডলির কাছ থেকে হাবিবা কোনো টাকা নেয়নি। অভিযোগ করে, এমনটাই বলছিলেন সাবেক ইউপি সদস্যর স্বামী মাসুদ রানা।
এ বিষয়ে মোহনপুর থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম তিনি বলেন, শেখ হাবিবা আমাদের থানার পুলিশের একজন এএসআইকে নানান রকম গালিগালাজ করেন, হুমকি দেন, এবং মারতে আসেন। তাই তাকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে একরামুল বলেন, সামাজিক ও রাজনৈতিক নানা প্রয়োজনেই আমি থানায় যাই। ডলি যখন হাবিবার বিরুদ্ধে মামলা করেন, তখন আমি থানায় ছিলাম। আমি ডলিকে থানায় নিয়ে গিয়ে মামলা করিয়েছি, এটা মিথ্যা। ডলির সঙ্গে হাবিবার পুরনো দ্বন্দ্ব ছিল। পুরোপুরি এটা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ।