প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ের বিভিন্ন কক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারি না থাকলেও ফ্যান লাইট, এসি সবই চলছে। সভাকক্ষে কোনো সভা নেই তারপরও সব সচল। এমনকি তালা বন্ধ করা কক্ষেও জ্বলছে লাইট, ঘুরছে ফ্যান…More
বিডি নিউজ২৩/BD News23: সরকারি বিদ্যুৎ সাশ্রয় নীতিকে যেনো বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন উপর মহলের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। বিশ্বব্যাপী জ্বালানী সংকটের মুখে সরকারি নীতি যখন বিদ্যুৎ সাশ্রয় তখন সেই নীতি থেকে যোজন যোজন দুরে প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়।
বিভিন্ন কক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারি না থাকলেও ফ্যান লাইট, এসি সবই চলছে। সভাকক্ষে কোনো সভা নেই তারপরও সব সচল।
এমনকি তালা বন্ধ করা কক্ষেও জ্বলছে লাইট, ঘুরছে ফ্যান। আরো জানাচ্ছেন সাইদুল ইসলাম। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কোন সভা নেই তবুও জ্বলছে লাইট, চলছে এসি। দিনের উজ্জ্বল আলোতেও দেয়ালে জ্বলছে লাইট, বন্ধ করারও কোন প্রয়োজন মনে করছেন না।
এদিকে সচিবালয়ের বিদ্যুৎ দেখভালের দায়িত্ব গণপূর্ত অধিদপ্তরের স্বয়ং নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা নেই অফিসে তবুও সচল রয়েছে লাইট, ফ্যান ও এসি। স্বয়ং নির্বাহী প্রকৌশলীর কক্ষেই চালু আছে ২৭ টি লাইট।
এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবন সহ পুরো সচিবালয়ে রয়েছে প্রায় সাত হাজার টনেরও বেশি এসি, প্রতিমাসে বিদ্যুৎ বিল আসে প্রায় এক কোটি টাকার বেশি।
এদিকে এক এক মন্ত্রণালয়ের এক এক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একেক রকম বক্তব্য দিচ্ছেন। কেউ বলছেন স্যার অফিসে নেই ভিজিটে গেছে, যে কোনো মুহূর্তে আবার ফিরে আসবে, তাই এই অল্প সময়ের জন্য লাইট ফ্যান অথবা এসি বন্ধ করা হয়নি।
উল্লেখ্য যে, সরকারের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের নীতি, যে লোডশেডিং এর নির্ধারণ করা হয়েছে, সেই লোডশেডিং এর মাত্রা শহর এলাকায় কিছুটা ঠিক থাকলেও, গ্রাম এলাকায় একেবারে নাজেহাল অবস্থা। কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে এক ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকলে পরবর্তী দুই থেকে আড়াই ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। আবার রাতের অর্ধেক সময় কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ থাকছে না। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝাড়ছেন তাদের ক্ষোভ। এর ভিতর সবচেয়ে বেশি নাজুক অবস্থা রংপুর-রাজশাহীতে।