নিজস্ব প্রতিনিধিঃ যাদের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব তারায় বিভিন্ন অজুহাতে ভাংছেন আইন। রাজশাহীর মোহনপুরে পুরনো বড় বড় দুটি ফলজ গাছ টেন্ডার ছাড়াই নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে।
উপজেলা ভূমি অফিসের ভেতরে থাকা পুরাতন গাছগুলো গতকাল ২০ জুলাই বুধবার বিকালে কেটে ফেলা হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলা ভূমি অফিসের ভেতরের দুটি আম গাছ নিয়ম বহির্ভূতভাবে নামমাত্র টাকায় বিক্রি করে দেন উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি(এসিল্যান্ড) প্রিয়াংকা দাশ।
যেগুলো গতকাল বুধবার বিকালে কাটা হয়।এবিষয়ে গাছের ক্রেতা জাহানাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি গোলাম মোস্তফাকে কত টাকা দিয়ে গাছ কিনেছেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আসলে গাছগুলি আমি বাকশিমইলের বেলালের থেকে গাছ কিনেছি এবং কাটছি। কত টাকায় কিনেছেন জানতে চাইলে বলেন, এটা বলা নিষেধ।
এবিষয়ে উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার তৃসিত কুমারকে প্রশ্ন করা হয় কত টাকায় গাছ বিক্রয় করা হয়েছে এবং টেন্ডার ছাড়া গাছ বিক্রি করার বিধান আছে কিনা। তিনি সাংবাদিকের এমন প্রশ্ন শুনে বলেন, কত টাকায় গাছ বিক্রি করা হয়েছে তা আমি জানিনা এসিল্যান্ড স্যার জানে। তবে ভুমি অফিসের ভেতরে গাছ থাকলে তা টেন্ডার ছাড়াই বিক্রয় করা যাবে বলে তিনি মতামত ব্যক্ত করেন।
এবিষয়ে সহকারি কমিশনার ভূমি প্রিয়াংকা দাশ মুঠোফোনে সাংবাদিককে বলেন, জেলা প্রশাসক স্যার ভূমি অফিস পরিদর্শনে এসে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বৃদ্ধির কারণে গাছ দুটি কেটে ফেলার অনুমতি দিয়েছেন। তাছাড়া গাছের আমগুলি জাতের না হওয়ায় গাছগুলি কাটা হচ্ছে। ব্যক্তিগত গাছ কাটতেও অনুমতি লাগবে আর আপনি সরকারি কর্মকর্তা হয়েও টেন্ডারবিহীন গাছ বিক্রি করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামীকাল ২১ জুলাই উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ি বিতরণ করা হবে তাই কাজে প্রচুর ব্যস্ত আছি এখন কথা বলতে পারছিনা। আপনি অফিসে দেখা করবেন।
এবিষয়ে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহা.সানওয়ার হোসেন বলেন, গাছগুলি টেন্ডার দেওয়া হবে। গাছগুলি আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম মোস্তফা কিনেছেন এবং তিনিই গাছগুলি কাটছেন এবং নিয়ে যাচ্ছেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।