• বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১২ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে ঘুষ ছাড়া মিলছেনা খতিয়ান-নকশা দুর্গাপুর মহিলা কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি হাসান ফারুক ইমাম সুমন রিজার্ভে হাত না দিয়েই ১৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ সরকারের প্রবাসীরা বিমানবন্দরে অতিথির মতো সম্মান পাবেন প্রবাসী লাউঞ্জ উদ্বোধনে: প্রধান উপদেষ্টা রাজশাহীতে অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীর বাঁচার আকুতি লীগপন্থীকে বাঁচানোর চেষ্টা, অপপ্রচার করে শ্রম আইন বাস্তবায়নে বাঁধা প্রদান রাজশাহীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তার ভবন নির্মাণ দুর্গাপুরে “অরবিট কোচিং”সেন্টারে এসএসসি প্রস্তুতি ক্লাসের শুভ উদ্বোদন রাজশাহীর দুর্গাপুরে ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিলসহ গ্রেপ্তার-৩ রাজশাহীর দুর্গাপুরে বিএনপির আয়োজনে বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

মেয়ে হত্যার বিচার চাইতে ১৮ কি.মি. ভ্যান চালিয়ে লাশ থানায় নিলেন বাবা

সংবাদদাতা:
সংবাদ প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০২২
BD News23
মেয়ে হত্যার বিচার চাইতে ১৮ কি.মি. ভ্যান চালিয়ে লাশ থানায় নিলেন বাবা

মেয়ে হত্যার বিচার চাইতে রাজশাহীর বাগমারাতে ১৮ কি.মি. নিজে ভ্যান চালিয়ে মেয়ের মরদেহ থানায় নিয়ে গেলেন বাবা…More

 

বিডি নিউজ২৩/BD News23: রাজশাহীর বাগমারায় নিজের ভ্যানে করে মেয়ে হোসনেয়ারা খাতুনের (১৬) মরদেহ প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরের থানায় নিয়ে যান ভ্যানচালক আবদুল মালেক। তার অভিযোগ, যৌতুক হিসেবে মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ায় তার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন জামাই রানা ইসলাম।

 

সোমবার (১৮ জুলাই) বাগমারা উপজেলার বীরকুৎসা গ্রামের মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুলিশের নির্দেশে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মেয়ের মরদেহ থানায় পৌঁছে দেন আবদুল মালেক।

 

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। পরে দুপুরের দিকে মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। এ ঘটনায় রানা ইসলাম ও তার মা-বাবাকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন আবদুল মালেক।

 

বাগমারা উপজেলার যোগিপাড়া ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা ভ্যানচালক আবদুল মালেকের অভিযোগ, মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ায় তার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন মেয়ের জামাই রানা ইসলাম। পরে এ ঘটনাকে ‘আত্মহত্যা’ বলে প্রচার করা হয়। শেষে ঘরের বারান্দায় মরদেহ ফেলে রানা ও তার মা-বাবা পালিয়ে যান।

 

পুলিশ সূত্র জানায়, সাত মাস আগে পাশের বীরকুৎসা গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে রানা ইসলামের সঙ্গে কিশোরী হোসনেয়ারা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে রানা ও হোসনেয়ারা একে অপরকে পছন্দ করতেন। কিন্তু বিয়ের পর তিক্ততা শুরু হয়। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শুরু হয় মনোমালিন্য।

 

তবে হোসনেয়ারার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, পারিবারিক অশান্তির কারণে হোসনেয়ারা গলায় ফাঁস নিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। কিন্তু হোসনেয়ারার পরিবারের দাবি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ নিয়ে জটিলতা তৈরি হলে মরদেহে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করতে সময় লেগে যায় পুলিশের।

 

মরদেহ কেন বাবাকে আনতে হলো, এ প্রশ্নে বাগমারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তৌহিদুর রহমান জানান, কোনো বাহন না পাওয়ায় রাতে নিহত গৃহবধূর বাবার ভ্যানে করে মরদেহ থানায় আনা হয়। আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে থানায় বাদী হয়ে মামলা করেছেন নিহত মেয়ের বাবা। এ নিয়ে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

Recent Comments

No comments to show.