বিডি নিউজ২৩/BD News23: সকালে অফিসে এসেই অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ ও ব্যয় না করতে নির্দেশনা দিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে আগারগাঁয়ে আইসিটি টাওয়ারে আসেন প্রতিমন্ত্রী। ভবনে এসেই বিভিন্ন ফ্লোর ঘুরে অপ্রয়োজনীয় লাইট, ফ্যান এবং এসি বন্ধের নির্দেশ দেন।
বিশেষ করে কটিডোরের লাইটগুলো সব সময় বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেন প্রতিমন্ত্রী। এছাড়া যেখানে ডে লাইটের আলো আসবে সেখানে লাইটগুলো বন্ধ রাখা হবে।
আর রুমের বাইরে থাকা অবস্থায় লাইট ও এসি বন্ধ এবং এসি ২৫ ডিগ্রির ঘরে রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন পলক। পাশাপাশি ব্যয় সাশ্রয়ে অভ্যন্তরীণ মিটিংগুলোতে নাস্তার বদলে শুধু পানি সরবরাহের নির্দেশনা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, বিদ্যুৎ ও ব্যয় সাশ্রয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে এক মাসের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি। তবে সে কাজটি নিজের ঘর থেকে শুরু করা দরকার। আর সেজন্য নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
তিনি বলেন, সকালে অফিসে এসে আইসিটি বিভাগের ১৫টি ফ্লোর ঘুরলাম। দেখলাম অফিস, কিচেন, করিডরে অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ ব্যবহার করছি। প্রত্যেকটি দপ্তরে ঘুরে ঘুরে অপ্রয়োজনীয় সকল বৈদ্যুতিক বাল্ব ও এসি বন্ধের জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।
পলক বলেন, আমরা হিসাব করে দেখেছি আইসিটি বিভাগে ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ খরচ কমিয়ে আনা সম্ভব।
তিনি বলেন, আসুন আমরা আমাদের মূল্যবান জাতীয় সম্পদ বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হই।
আইসিটি বিভাগের অন্যান্য খরচ কমিয়ে আনার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পলক বলেন, আমরা অভ্যন্তরীণ মিটিংগুলোতে নাস্তা এবং খাওয়া-দাওয়ার ব্যয় কমিয়ে আনতে পারি। সেজন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি, এর আগে সরকারি নির্দেশনায় এই বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশের ট্যুর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে হ্যাকাথন: প্রযুক্তি ব্যবহার করে কিভাবে বিদ্যুতের ব্যবহার কমিয়ে আনা যায় সেজন্য একটি উদ্ভাবনী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা অল্প দিনের মধ্যেই তরুণদের নিয়ে একটি হ্যাকাথনের আয়োজন করছি। সেখানে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে তরুণদের কাছ থেকে বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রকল্প আহ্বান করা হবে। তার ভিত্তিতে আমরা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের প্রকল্পগুলো কাজে লাগাতে পারব।