বিডি নিউজ২৩/BD News23: দেশে যখন চলছে ব্যাপক রকম বিদ্যুৎ ঘাটতি, ঠিক সেই মুহূর্তে সব বিলাসিতাই যেনো হার মেনেছে পানি ভবনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাছে। সরকারের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের নীতি ঘোষণার পর যে কয়েকটি আলোচনার জন্ম দিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম পানি ভবন।
পানি ভবনে কাজ করা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গড়ে মাথাপিছু এক টনেরও বেশি এসি ব্যবহার করে। রাজধানী ঢাকার পান্থপথ এলাকায় ২০২০ সালে নির্মিত হয় পানি ভবন, ১২ তলা বিশিষ্ট এই অত্যাধুনিক ভবনটিতে শুধুমাত্র টয়লেটেই ব্যবহার করা হয় ১১৮ টি এসি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিজস্ব নকসায় এই ভবনটি তৈরি করা হয়েছিল। সময় লেগেছিল প্রায় পাঁচ বছরের কাছাকাছি। রয়েছে বিশাল অডিটোরিয়াম, হেলিপ্যাড, সোলার প্যানেল ব্যবস্থা।
বিশাল এই ভবনটিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কাভারেজ করার জন্য দরকার পড়ে ২৪০০ টন এসির। ২৪০০ টন এসির বিপরীতে ভবনটিতে কাজ করেন দুই হাজার কর্মকর্তা কর্মচারী। গড় এভারেজে মাথাপিছু এক টনের বেশি এসি ব্যবহার করেন সেখানে কাজ করা কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীগণ।
গত বছর পানি ভবনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেন দুই কোটি ৭১ লাখ টাকা।
এদিকে দুপুরের পর সাংবাদিকরা পানিভবনে গেলে এসিড ঠান্ডা বাতাসের অস্তিত্ব মেলে। তবুও সেখানে কর্মরত কর্মকর্তাগণ বলছেন তারা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তাহলে ঠান্ডা এসির হাওয়া কোথায় থেকে আসছে খুব সহজেই অনুমেয় করা যায় যে এসি বন্ধ হয়নি।
মোঃ আব্দুল মতিন সরকার, প্রধান প্রকৌশলী কেন্দ্রীয় অঞ্চল বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ঢাকা তিনি বলেন, আমরা আমাদের ঘরে কোন প্রকার পর্দা লাগায়নি যাতে করে আলো বাতাস আমাদের রুমের ভিতর ঢুকতে পারে এবং তা যেন পরিবার পর্যন্ত পৌঁছায়। সরকারের বিদ্যুৎ সাশ্রয় পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি আমরা।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন কোন ভবনে কি পরিমাণ এসি এবং বিদ্যুৎ ব্যবহার করার প্রয়োজন তা আগে থেকেই নির্ধারণ করা গেলে দেশের প্রতিটি জায়গায় বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন। কোন ভবনে কি পরিমান বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যাবে তার সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন তাহলে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের পরিকল্পনা খুব বেশি সফল হবে এমন তো ভাবছেন অনেকেই।