মোস্তাফিজুর রহমান জীবন রাজশাহীঃ রাজশাহীর পুঠিয়ায় পাঁচ বছরের এক শিশু কন্যাকে বিষাক্ত খাবার খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বড়মার (জেঠিমার) বিরুদ্ধে।বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি করে শিশুটির লাশ দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে জেঠিমার বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যার অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য লাশ উত্তোলনের জন্য আদালতে আবেদন করেছেন।
মঙ্গলবার (১২ জুন) দুপুরে রাইসা (৫) বিষাক্রান্ত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রামেকে) ভতি করনো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরেরদিন বুধবার সকালে শিশুটি মারা যায়। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের খলিশাকুড়ি গ্রামে।
রাইসার মা রুবিনা বেগম বলেন, আমার প্রথমে বিয়ে হয় গোদাগাড়ী উপজেলা সদরে। সেখানে স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় আমাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তবে মেয়েটি আমার প্রথম স্বামীর পক্ষের। এরপর খলিশাকুড়ি গ্রামের শাজাহান আলীর সাথে গত তিন বছর আগে আমার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। রাইসা আমার সাথে দ্বিতীয় স্বামীর পরিবারেই থাকতো। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ভাসুর আব্দুস সালাম ও জা ফরিদা বেগমের সাথে পারিবারিক কলাহোল চলছিল। এর প্রতিশোধ নিতে গত মঙ্গলবার আমার শিশু মেয়েটির খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে দেয়। পরে তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার মারা যায়। মারা যাওয়ার পর মেয়ের বাবা (প্রথম স্বামী) তার লাশ ওই এলাকায় দাফন করেন। কিন্তু আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই। আর সে জন্য আমার জায়ের বিরুদ্ধে বুধবার সন্ধ্যায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছি।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) সোহরাওয়াদী হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শিশুটির মা অভিযোগ করেছেন তার শিশু কন্যাকে বিষাক্ত কিছু খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্ত ছাড়াই ওইদিন দাফন করা হয়েছে। আমরা বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে লাশ উত্তোলনের জন্য আবেদন করেছি। অনুমতি পেলেই লাশের ময়না তদন্তের জন্য উত্তোলন করা হবে। শিশুটি কিভাবে মারা গেছে তা ময়না তদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া কিছুই বলা যাচ্ছে না।