হয়রানি বন্ধে ও প্রতিকার চেয়ে আরএমপি পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীতে জমিজমা নিয়ে বিরোধ জের ধরে একটি পরিবারকে একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করা অভিযোগ উঠেছে। প্রতিকার চেয়ে পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।
গত ১৪ জুলাই আরএমপি’র পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে ফারুক আহমেদ।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মতিহার থানার ডাঁশমারী উত্তরপাড়া এলাকার মৃত একিন সরদারের ছেলে ফারুক আহম্মেদ (৬৫) কে একের পর এক মামলা হামলা করে হয়রানি করা হচ্ছে। একিন সরদারের স্ত্রী হালেমা বিবি’র সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে জড়ায় জুলেখা বেগম ও তার স্বামী সাদ্দাম আলী।
জুলেখা ও তার স্বামী সাদ্দাম আলী ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এ পযর্ন্ত ৬টি মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। উক্ত ৬ মামলার ৫ টিতে খালাস পেয়েছেন ফারুক আহম্মেদের পরিবার। এখনো থানায় একের পর এক অভিযোগ ও মামলা দিয়ে হয়রানি অব্যাহত রেখেছে জুলেখা ও তার স্বামী। হয়রানি বন্ধে ও মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানির প্রতিকার চেয়ে পুলিশ কমিশনারের নিকট আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার ফারুক আহমেদ।
উল্লেখ, ২০০৮ সালে জুলেখার ভাই সুজন প্রতারণার মাধ্যমে হালেমা বিবি’র ১০ শতাংশ বসতবাড়ি লিখে নেয়। পরে হালেমা বিবি বুঝতে পেরে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা করেন। মামলায় আদালত রায় দিয়ে হালেমা বিবিকে ২০১১ সালে জমি ফিরিয়ে দেন। সেই জমি’র মালিক হালেমা বিবি তার ছেলে ফারুক আহম্মেদকে লিখে দেয়। এ সময় থেকে প্রতারক সুজন ২০০৮ সাল থেকে পলাতক আছে। পলাতক সুজনের বোন জুলেখা বেগম ও তার স্বামী সাদ্দাম আলী ভুক্তভোগী পরিবারের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।
ভুক্তভোগী পরিবারের ফারুক আহম্মেদ বলেন, আমরা যদি দোষী হই তাহলে প্রশাসন যে শাস্তি দিবে মাথা পেতে নিবো। কিন্তু বিনা কারণে একের পর এক থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছেন জুলেখা ও তার স্বামী। থানা প্রভাবিত হয়ে সেই অভিযোগে আমাদেরকে হয়রানি করছেন। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করছি। এছাড়াও তিনি আরও বলেন, জুলেখা ও তার স্বামী সাদ্দাম আলী জোরপূর্বক আমার জমি দখল করে রেখেছেন। যদিও আদালতে উচ্ছেদ মর্মে মামলা দাখিল করেছি তা এখন আদালতের বিষয়। কাগজ পত্র যাদের সঠিক থাকবে তখন তাদের নিকট আদালত জমি হস্তান্তর করবে বলেও জানান তিনি। এখানে কারো কোন ওজর আপত্তি থাকবে না। তবে হয়রানি ও মিথ্যা মামলা বন্ধ হোক সেটাই আমরা চাই।।