বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘা পৌরসভার বিরুদ্ধে পল্লী বিদ্যুতের বিল পরিশোধ না করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ প্রায় ১৩ লাখ টাকা। বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ পৌর কর্তৃপক্ষকে বারবার তাগিদ দিলেও তা পরিশোধ করা হয়নি বলে জানা গেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে পৌরসভার রাস্তার বাতি, ভবন, দাপ্তরিক কাজ ইত্যাদিতে ব্যবহারের জন্য মোট ১৫টি বিদ্যুতের মিটার রয়েছে। বর্তমান পরিষদ ক্ষমতায় আসার পর গত বছরের জানুয়ারি (২০২১) মাস থেকে পৌরসভার বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হয়নি। বর্তমানে পৌরসভার অনাদায়ী বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ মাসে (মে- ২০২২) পর্যন্ত ১২ লাখ ৩২ হাজার ৯ শত সাতচল্লিশ টাকা।এদিকে পৌরসভার বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য বাঘা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর পক্ষ থেকে লিখিতভাবে বারংবার তাগাদা দেয়া হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ তাতে কর্ণপাত করছে না বলে জানা গেছে।
সচেতন নাগরিকদের অভিযোগ, যেখানে সাধারণ গ্রাাহকের এক/দুই মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকলেই কর্তৃপক্ষ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য উঠে পড়ে লেগে যায় সেখানে পৌরসভার সাড়ে ১২ লাখ টাকার বিল বকেয়া থাকার পরও কিভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বহাল থাকে।
এদিকে বর্তমান মেয়রের ৫ বছর মেয়াদ পুর্তির মাত্র ৫ মাস বাঁকি আছে। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করলেও নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পত্র প্রেরণের মাধ্যমেই তাদের দায়িত্ব শেষ করেছেন বলে অভিযোগ সচেতন পৌরবাসীর।
এ বিষয়ে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর বাঘা জোনাল অফিসের জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) সুবীর কুমার দত্ত জানান, গত ১৪ জুন বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে চূড়ান্ত পত্র প্রেরন করা হয়। কিন্তু তারা অদ্যাবধি (২৬ জুন) বিল পরিশোধ করেন নি। ফলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।
বিল বকেয়া প্রসঙ্গে পৌরসভার হিসাব রক্ষক হাসান আলী কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকেন এবং সংযোগটি কেটে দেন।
পৌরসভার সচিব রবিউল ইসলাম বকেয়া বিল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জরুরী কাজে ঢাকায় আছি,আপনি মেয়র মহদোয়ের সঙ্গে কথা বলেন। এর বেশি আমি কিছু বলতে পারবনা।
এ বিষয়ে বাঘা পৌর মেয়র আব্দুর রাজ্জাকের বক্তব্য নেবার জন্য পৌরসভায় গিয়ে তাঁকে পাওয়া না গেলে তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল করা হয়। কিন্ত কলটি রিসিভ হয়নি।
প্রসঙ্গত: ২৪ শে জুন ১৯৯৯ সালে বাঘা পৌরসভা গঠন করা হয়। এরপর ২৭ জানুয়ারী ২০১১ সালে খ শ্রেনীতে উন্নিত হয়। ২ জুলাই ২০১৭ সালে পৌরসভাটি প্রথম শ্রেনীর মর্যাদা লাভ করে। ওই বছরেই ( ২০১৭) ৩০ ডিসেম্বর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনে জামাত বিএনপি সমর্থক মেয়র প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক আ.লীগ সমর্থীত প্রার্থীকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচীত হন। নির্বাচীত হয়ে ১ পহেলা ফেব্রুয়ারী, ২০১৮ সালে দায়িত্তভার গ্রহন করেন।