মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর মহাদেবপুরে এক নবগৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে৷ এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা পুলিশ গৃহবধূ নিহতের শ্বশুর মো. মোকলেছার রহমান ও শাশুড়ী হাসিনা বেগমকে আটক করে মহাদেবপুর থানায় নিয়ে আসা হয়।
শুক্রবার (২৪ জুন ইং) মহাদেবপুর উপজেলার উত্তরগ্রাম ইউনিয়নের মোল্লাকুড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিকালে আনুমানি পাঁচটায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ থানায় নিয়ে আসে। নবগৃহবধু সুরাইয়া বেগম (১৯) ওই গ্রামের মো. হান্নান ওরফে বাবুর স্ত্রী। গৃহবধূর স্বামী পেশায় বাস ড্রাইভার।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বাবু শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে তার শাশুড়ীকে জানায় তার মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু নিহতের পরিবারের দাবি পারিবারিক কলহের জেরে তার মেয়েকে হত্যা করে বসত ঘরের চালের তীরের সাথে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বাবুর প্রতিবেশীরা সাংবাদিকদের জানায়, খবর পেয়ে প্রথমে নিহতের মা ছুটে এসে মেয়ের লাস দেখে কান্নাকাটি শুরুকরলে বাবুর মা ও বোন নিহতের মা(মোছাঃ নূরনাহার) কে চড়,কিল,ঘুসি ও খামচা মেরে আহত করে সঙ্গাহীন করে।
স্থানীয়রা তার মাথায় পানিঢেলে গ্যান ফিরে আসে। এক বছর আগে মহাদেবপুর উপজেলার খোর্দ্দনারায়ণপুর গ্রামের আবুল কালাম আজাদের মেয়ে সুরাইয়ার বেগমের সাথে বাবুর বিয়ে হয়। বিয়ের তিন থেকে চার মাস পর ওই গৃহবধুকে নির্যাতন করা হতো বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ জন্য বেশ কয়েকবার কয়েক জায়গায় শালিশ বৈঠকও হয়েছে। নিহত গৃহবধূর গলায় রসির দাগ রয়েছে। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী বাবু ওরফে হান্নান পলাতক রয়েছে।
মহাদেবপুর থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাবুর মা ও বাবাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।