• সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
আত্মগোপনে থাকা নেতার অপহরন মামলায় ব্যবসায়ী কারাগারে রাজশাহীর পুঠিয়ায় জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী পালিত রাজশাহীর পুঠিয়ার বিড়ালদহে মিঠুন মোল্লার উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ সারা দেশের সঙ্গে ৪ ঘণ্টা পর রাজশাহীর ট্রেন চলাচল শুরু পুঠিয়ায় উপজেলা প্রশাসন ও নজরুল ইসলাম মন্ডলের বিজ্ঞান মেলার স্টল পরিদর্শন রাজশাহীর পুঠিয়ায় পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু বক্কর গ্রেফতার রাজশাহীর তানোরে বাসর রাতে বউ উধাও! পুঠিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের লিফলেট বিতরণ রাজশাহীর বানেশ্বরে বিএনপির নতুন ওয়ার্ড কমিটর মতবিনিময় ও পরিচিতি সভা রাজশাহীর শাহমুখদুম থানা বিএনপির আহ্বায়ক সুমন, সদস্য সচিব নাসিম

পদ্মা সেতুর সুফল: কয়েক ঘণ্টার দুর্ভোগ মাত্র ৬ মিনিটে শেষ

সংবাদদাতা:
সংবাদ প্রকাশ: শুক্রবার, ২৪ জুন, ২০২২
BD News23
পদ্মা সেতুর সুফল: কয়েক ঘণ্টার দুর্ভোগ মাত্র ৬ মিনিটে শেষ

দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে জেলাগুলোতে যেতে অনেক সময় দেখা গেছে বহু মানুষ তাদের কাচা পণ্য লঞ্চ ফেরির মধ্যেই পৌঁছে নষ্ট হয়ে যেত কারণ পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে ব্যবহার করতে হতো লঞ্চ, ফেরি, স্পিডবোট ইত্যাদি যেগুলো যানজটের কারণে পথেই কাঁচা পণ্য নষ্ট হয়ে যেত।

 

ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে যাঁরা দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে যান, তাঁদের পদ্মা পাড়ি দিতে হয় ফেরি, লঞ্চ অথবা স্পিডবোটে। বর্তমানে মাওয়া দিয়ে নৌপথে প্রতিদিন যাত্রী ও পণ্যবাহী প্রায় চার হাজার যানবাহন পারাপার হয়। আর মানুষ পারাপার হয় দৈনিক গড়ে দুই লাখ।

 

মুন্সিগঞ্জের মাওয়া দিয়ে ফেরিতে ওঠার পর পদ্মা নদী পার হতে সময় লাগে দুই ঘণ্টা। মাওয়া ফেরিঘাটে যাত্রীবাহী যানবাহনকে গড়ে দুই ঘণ্টা ও পণ্যবাহী যানকে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হয়। অবশ্য ঈদ, বড় ছুটি অথবা শীতে ঘন কুয়াশায় ফেরিঘাটে ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টাও অপেক্ষা করতে হয় নদী পার হতে। পদ্মা সেতু চালুর পর এই দুর্ভোগের অবসান হবে।

 

ফেরি পারাপারের ভোগান্তির কারণে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অনেকেই শুধু ঈদের সময়ে গ্রামে যান। অনেকেই সরাসরি বাসে দক্ষিণের জেলাগুলোতে যান না। সেতু উদ্বোধনের খবরে তারা উচ্ছ্বাসিত।

 

তাদের কাছে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন স্বপ্নপূরণের মতো ব্যাপার। কয়েক ঘণ্টার দুর্ভোগ ছয় মিনিটেই শেষ হওয়ার অপেক্ষায় তারা। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের খবরে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে ক্ষণগণনা করছে এই অঞ্চলের মানুষ।

 

বরিশালের মুলাদির বাসিন্দা ইকবাল হোসেন ৩০ বছর ধরে ঢাকায় থাকেন। ১৯৯৮ সাল থেকে সড়কপথে পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে ঢাকা-বরিশাল যাতায়াত করছেন। নদীর স্রোত, ঝড়, বৃষ্টি, কুয়াশায় দিনের পর দিন দুর্ভোগে পড়তে হয়। এ কারণে ১০ বছর ধরে ঈদ ছাড়া তেমন একটা বাড়িতে যান না। পদ্মা সেতু চালুর আগে শেষবার নৌপথে ২ জুন গ্রামের বাড়িতে যান।

 

জাজিরা ঘাটে ইকবাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করি। গ্রামে পরিবারের সদস্যরা থাকে। দুই মাস পরপর বাড়িতে যেতাম। কিন্তু নৌপথ পাড়ি দিতে বৈরি আবহাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়। কখনো কখনো ৮-১০ ঘণ্টায়ও নদী পার হওয়া যায় না। এ কারণে এখন শুধু ঈদে গ্রামে যাই। সেতু উদ্বোধনের খবরে আমি উচ্ছ্বাসিত।

 

ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গার দূরত্ব ৬০ কিলোমিটারের মতো। এ পথটুকু গণপরিবহনে যেতে এখন তিন থেকে চার ঘণ্টা লাগে—পদ্মা পারাপারে স্পিডবোট, লঞ্চ বা ফেরি যে মাধ্যমই ব্যবহার করা হোক। পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা থেকে মাওয়া এবং জাজিরা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে ৫৫ কিলোমিটারের এক্সপ্রেসওয়ে। মূল এক্সপ্রেসওয়ে চার লেনের। আর সেতুর দুই পাশে ধীরগতির যানবাহন চলাচলের জন্য সাড়ে পাঁচ মিটার প্রশস্ত সড়কও রাখা হয়েছে।

 

পদ্মা সেতু চালু হলে এ পথ যেতে এক ঘণ্টার বেশি লাগবে না। নদী পার হওয়ার সময় ভোগান্তি দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের নিত্যসঙ্গী ছিল। যখন ইচ্ছা ঢাকা থেকে বাড়িতে আসা বা ঢাকায় যাওয়া সম্ভব ছিল না। এখন তাদের স্বপ্নপূরণ হতে যাচ্ছে। এখন যখন প্রয়োজন দ্রুততম সময়ে ঢাকায় যেতে পারবেন, সকালে গিয়ে বিকেলে আবার বাড়িতে ফিরতেও পারবেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

Recent Comments

No comments to show.