মোহাম্মদ ইমাম হোসাইন চিফ এডিটরঃ বিডি নিউজ২৩/BD News23: বন্যা যে কতটা নিষ্ঠুর, ভয়াবহ, অমানবিক হতে পারে তা ইব্রাহিম মিয়ার চেয়ে আর কেউ ভালো জানেন না।
গত ৫ দিন আগে পিতা আশরাফ অালী মারা গেছেন। পিতার লাশ পানিতে ভাসিয়ে না দিয়ে একটি ছোট বাক্স বানিয়ে, সেখানে বাশ পুতে বন্যার স্রোতে বেঁধে রেখেছেন। চারিদিকে থই থই পানি। কবরস্থান ডুবে রয়েছে, কোথাও যেন পিতাকে শায়িত করার জায়গা পাচ্ছেন না। তাই পিতার লাশটি এভাবে রেখে প্রতিনিয়ত বিলাপ করছেন ইব্রাহিম মিয়া।
পারতেন বানের পানিতে ভাসিয়ে দিতে, কিন্তু যে বাবা আগলে রেখেছেন এতোটা বছর, তার লাশ পানিতে ভাসিয়ে দেবার সাহস হয়নি ইব্রাহিম মিয়ারর। নিজের জন্মদাতা পিতাকে কিভাবে পানিতে ভাসিয়ে দিয়ে নিজের দায় সারবেন? তিনিতো জন্মদাতা পিতা। অপেক্ষায় আছেন কখন বন্যার পানি নেমে যাবে আর তখন পিতাকে কবর দিবেন।
ইব্রাহিম মিয়া বলেন, বাবা মারা যাবার পর পানির উপর রেখেই জানাজা পড়ি। তারপর বাবাকে পলিথিনে পেচিয়ে অাপেক্ষা করতে
থাকি, কখন বন্যার পানি নেমে যাবে, অার বাবাকে কবর দেবো। এভাবে আমার বাবাকে ৫ দিন যাবৎ পানিতে ভাসিয়ে রেখেছি। পানি আর কমছেনা, কাবাকেও কবর দেওয়া হচ্ছেনা। কেঁদে কেঁদে এভাবেই বলছিলেন ইব্রাহিম মিয়া।
বন্যার এই চড়ম তান্ডবের মধ্যে কোথায় আশরাফ অালীকে কবর দেবেন সেটাও খুজে পাচ্ছেন না সেচ্ছাসেবীরা। কারন পুরো এলাকাই পানির নিচে ডুবে রয়েছে।
শুধু আশরাফ আলী নয়, এই বন্যার মধ্যে কেউই মারা গেলে তাকে কোথায়, কখন কবর দিচ্ছেন, তাও বোঝা যাচ্ছেনা, দেখাও যাচ্ছেনা। তবে কেউ কি মারা যাচ্ছেনা? না অবশ্যই হয়তো অনেকেই মারা যাচ্ছেন, কিন্তু তাদের বেশির ভাগই লাশকে হয়তো পানিতে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমনটাও মনে করছেন অনেকেই।
ভয়ংকর এই বন্যাতে আপনারা যেযেভাবে পারেন, সবাই একটু করে সহায়তা করার চেস্টা করুন। তবেই জিতে যাবে মানবতা।