নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর চারঘাটে সুদ ব্যবসায়ী আব্দুল রউফ ভোগার বিরুদ্ধে মানব বন্ধন করেছে এলাকাবাসী। শুক্রবার বিকেলের দিকে উপজেলার হলিদাগাছি গ্রামে এ মানব বন্ধন অংশ নেয় ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী হলিদাগাছি গ্রামের মোঃ রনি ওরফে কুতুব (৩২) বলেন, আমি বিপদে পড়ে শিক্ষক আব্দুর রউফ ভোগার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ১ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা নিয়েছি এবং তাকে সুদ বাবদ ১ লক্ষ ৮৮ হাজার ছয়শত টাকা দিয়েছি। কিন্তু সে আমার নামে চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার মামলা করেছে।
রনির মা কমেলা বেগম (৪৮) বলেন, আমি টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। এখন সে আমার কাছ থেকে আমার থাকার সামান্য ভিটা বাড়ি টুকু লিখে নিতে চায়। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি আমাকে যেন তারা সহায়তা করে।
আরেক ভুক্তভোগী ইউসুফপুর ডিগ্রী কলেজের ইংরেজীর প্রভাসক জিয়াউল হক বলেন, শিক্ষক আব্দুর রউফ আমার কাছ থেকে এক লক্ষ আশি হাজার টাকা পেতো কিন্তু সে আমার নামে তিন লক্ষ নব্বই হাজার টাকার মিথ্যা মামলা করেন। মান সম্মানের ভয়ে আমি সেই টাকা দিয়ে রেহাই পায়। তিনি আরও বলেন এ এলাকায় এই রকম অনেক ভুক্তভোগী আছে। যারা তার সুদ দিতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী মোঃ আশরাফুজামান(ভুট্ট) বলেন, আমি তার কাছ ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ধার হিসেবে নেওয়ার পর সে আমার কাছ থেকে কৌশলে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নেয়। এর কিছুদিন পরে হটাৎ এসে সারদা বাজারে অবস্থিত আমার হোমিওপ্যাথি ফার্মিসিতে এসে বসলে আমি তাকে বিশ্বাস করে রেখে বাহিরে বাজার করতে যা-ই সেই সুযোগে সে আমার অগোচরে আমার সাক্ষরিত অগ্রণী ব্যাংক চারঘাট শাখার চেকবই যার হিসাব নং-১০০০১৯২৩৫৩৬২৭৮ এর পাতা ছিড়ে নিয়ে যায় এরপরে হটাৎ আমাকে এসে বলে আপনাকে সুদের টাকা দিতে হবে আমি না দিতে চাইলে সে আমার সেই চেক নিয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
আব্দুল রউফ ভোগার অনিয়ন্ত্রিত সুদ ব্যবসার কারনে সর্বশান্ত হচ্ছে হতদরিদ্র অসহায় পরিবার গুলো। তাই তার সুদ ব্যবসা বন্ধ করার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, যদি কোন ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দেন তাহলে সে সুদ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।