নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীর বাঘা থানায় আকতার রহমানের বিরুদ্ধে পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগ করেছে বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্যানেল মেয়র আব্দুল কুদ্দুস সরকার।শুক্রবার(২৭ মে) রাত্রে থানায় লিখিতভাবে এ অভিযোগ টি করেন বলে জানাযায়।
অভিযুক্ত আকতার রহমান বাঘা পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড উত্তর গাওপাড়া গ্রামের মৃত জেকের আলীর ছেলে। তিনি বর্তমানে এশিয়ান টিভির স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
থানা অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, আক্তার রহমান বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র ও বিশিষ্ট ঠিকাদার আব্দুল কুদ্দুস সরকার এর থেকে ঠিকাদারি কাজ বাবদ ২৬ মে দুপুর আনুমানিক দুইটার সময় পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। অন্যথায় সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশ করে আব্দুল কুদ্দুস সরকার এর মানহানি করবে। অভিযোগে এই ঠিকাদার আরও উল্লেখ করেন যে, অতীতেও এই চাঁদাবাজ ও হলুদ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ঠিকাদারের কাছ থেকে ও বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে চাঁদা দাবি এবং ঘুষ গ্রহণ করেন। চাঁদা দাবির সময় উত্তর মিলিক বাঘা গ্রামের কুদ্দুস সরকারের ছেলে সেলিম ও আজিজের ছেলে কামরুল উপস্থিত ছিল।
বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্যানেল মেয়র আব্দুল কুদ্দুস সরকার বলেন, আমি ঠিকাদারি ব্যবসা করি। আমার একটি সাইডে কাজ চলছে। যা আমি সিডিউল অনুসারে করছি। হঠাৎ আক্তার সাংবাদিক সেখানে গিয়ে ছবি তোলা সহ আমার কাজে নিয়জিত শ্রমিক দের সাথে খারাপ আচরণ শুরু করে। আমি ফোনে যানতে পাওয়ার পর তার সাথে ফোনে কথা বলি। সে সরাসরি দেখা করে বিস্তারিত কথা বলতে চাই। দুপুর আনুমানিক আড়াই টার দিকে সে আমার সাথে দেখা করতে আমার পুরাতন বাড়ির কাছে আসে এবং কাজের বিভিন্ন ভুল ত্রুটির কথা উল্লেখ করে বলে অনেক বড় কাজ ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে তাকে। কি কারণে টাকা দিতে হবে বললে বলে, আমি নিউজ করলে মানহানিতো হবে সেই সাথে কাজেও অনেক ঝামেলা হবে। আমি টাকা দিতে রাজি না হওয়াতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে অসত্য নিউজ প্রকাশ করে।
তিনি আরো বলেন, পুঁজি খাটিয়ে বৈধভাবে ব্যবসা করেও চাঁদা দিতে হবে তাদের। বাঘা মেডিকেলের ঠিকাদারের থেকেও চাঁদা নিয়েছেএমন একটি অডিও শুনেছিলাম ফেসবুকে। কোথাও কোন ঘটনা না জেনে না বুঝে ক্যামেরা বের করে ছবি তুলে পরে চাঁদা দাবি করে এমন অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে এই আকতার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। আমি ব্যবসায়ীরা এমন হলুদ সাংবাদিক এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে একাধিক বার আকতার রহমানের মুঠোফোনে কল দিলে তা বার বার বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ( ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন,এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।