বিডি নিউজ২৩/BD News23: সারাদেশে আগের তুলনায় বর্তমানে অনেকটাই আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে গেছে এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার প্রবণতা উঠে এসেছে রাজশাহী জেলার ভেতর থেকে।
রাজশাহী বিভাগে আত্মহত্যার হার জাতীয় হারের চেয়ে প্রায় ৩ শতাংশ বেশি বলে জানিয়েছেন রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক জয়দেব ভদ্র। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলেও মন্তব্য তার।
বাংলাদেশে আত্মহত্যার কারণ নির্ণয়ের লক্ষ্যে শনিবার বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সঙ্গে বিভাগীয় পুলিশের একটি প্রতিনিধিদলের আলোচনাকালে এ তথ্য জানান তিনি। পুলিশের প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেন রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক জয়দেব ভদ্র।
তিনি বলেন, পুলিশ আত্মহত্যাজনিত মামলাগুলো তদন্ত করে বলে আত্মহত্যার প্রকৃতি ও কারণ সম্পর্কে অবহিত থাকে। পারিপার্শ্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতিসহ সামগ্রিকভাবে আত্মহত্যার কারণ নির্ণয়ে গভীর গবেষণা প্রয়োজন। আলোচনাকালে জয়দেব ভদ্র বলেন, বাংলাদেশে আত্মহত্যার কারণ নির্ণয়ের লক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় একটি উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান। গবেষণা চলাকালীন পুলিশ প্রশাসন গবেষকদের তথ্য-উপাত্তসহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে প্রত্যয় ব্যক্ত করে।।
আলোচনা সভায় উপাচার্য এ ধরনের গবেষণার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই গবেষণায় সম্পৃক্ত হওয়ার প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেন। এ ধরনের গবেষণার সুপারিশ নীতিনির্ধারণে সহায়তা করবে বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন। গবেষণার বিষয়টিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে অবিলম্বে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়েও এ সভায় আলোচনা হয়।
মতবিনিময়কালে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. ইলিয়াছ হোসেন, জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে।
আরও উপস্থিত ছিলেন মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবা কানিজ কেয়া, চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. মো. নূরে আলম সিদ্দিকী, মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল হাসান সুফি, রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক টিএম মোজাহিদুল ইসলাম ও ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট শাখার পুলিশ সুপার আব্দুস সালাম প্রমুখ।