বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের কমিটি গঠনের লক্ষে ফরম বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে পুলিশী বাধার কারনে স্বল্প সময়ে কার্যক্রম শেষ করেন নেতৃবৃন্দ। এসময় ফরম বিতরন কার্যক্রম থেকে ফেরার পথে ভবানীগঞ্জ গোডাউন মোড়ে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে সাবেক জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী ওরফে সুমন এর গাড়ির সামনের গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে উত্তেজিত লোকজন।
জানা যায়, উপজেলা যুবদলের কমিটি গঠনের জন্য কেন্দ্রিয় ভাবে আগ্রহী প্রার্থীদের মধ্যে জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহের জন্য ফরম বিতরণ উপলক্ষে গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলার চাঁনপাড়ায় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় রাজশাহীর দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রিয় যুবদলের সহ সাধারণ সম্পাদক এএইচএম ওবায়দুর রহমান ওরফে সুইট প্রধান অতিথি ছিলেন। সভায় জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান সজন, সদস্য সচিব রেজাউল করিম টুটুল, সাবেক জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমনসহ জেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বেলা তিনটার দিকে নেতাকর্মীদের মাঝে ফরম বিতরণ আরম্ভ করেন। এরপর পুলিশ উপস্থিত নেতৃবৃন্দসহ সকল কে স্থান ত্যাগের নির্দেশ দেয়। উপস্থিত নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে ফরম জমা নিয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
এদিকে নেতৃবৃন্দরা ফেরার পথে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বড়বিহানালী ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মিলনের লোকজনের সঙ্গে সভায় আসা লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে সেখানেই বিশৃংখলার সৃষ্টি করেন দলীয় কর্মীরা।
এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ফরম বিতরণের দায়িত্বে থাকা যুবদল নেতা মোজাদ্দেদ জামানী সুমনের গাড়িতে হামলা চালানো হয়। এতে গাড়িটি সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে বলে জানা গেছে। পরে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দলীয় নেতা-কর্মীরা যুবদল নেতা মোজাদ্দেদ জামানীকে সরিয়ে নিরাপদে নিয়ে আসেন।
এ ব্যাপারে যুবদল নেতা মোজাদ্দেদ জামানী সুমনের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের কাছে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
এই বিষয়ে জেলা যুবদলের সদস্য সচিব রেজাউল করিম টুটুল বলেন, পুলিশের বাধার কারণে অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করতে হয়েছে। । ফরম বিতরন কার্যক্রমে বিএনপির কোন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ কে আহ্বান না জানালেও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং বড় বিহানালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মিলন তাঁর কিছু অনুসারী নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। তবে অপ্রীতিকর ঘটনায় আমার কোন লোকজন জড়িত ছিল না ।
তবে বড় বিহানালী ইউপি চেয়ারম্যান এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তাঁকে ফরম না দিয়ে জেলা যুবদলের সদস্যসচিব ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তিনি কোনো বিশৃংখলার সৃষ্টি করেননি।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, যুবদলের সভার বিষয়ে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। মৌখিক ভাবে তাঁরা জানালেও বিশৃংখার আশংকায় অনুমতি দেওয়া হয়নি। এই বিষয়ে থানায় কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি।