মিজানুর রহমান: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুরে মাসুদ রানার পরিচালনায় পৌর শিল্পকলা একাডেমি পরিচালিত হয়। তিনি পেশায় তাহেরপুর ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক।
মাসুদ রানার কাছে শিল্পকলা একাডেমি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিল্পকলা এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যেটি প্রায় সব জেলাশহরেই আছে। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় নেই, তবে অচিরেই হয়ে যাবে। দেশের শিল্প ও সাংস্কৃতিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শিল্পকলা একাডেমি।
গান,নৃত্য, নাটক, বাংলার ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ ও বিকাশে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত জাগরণ ঘটায় শিল্পকলা। শিল্পকলা শুধু যে নগরকেন্দ্রিক তা নয়, প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়া দরকার। আর বর্তমান সরকার সংস্কৃতিবান্ধব তাই শিল্পের বিকাশ এখন অনুকূলে। সব পর্যায়ে শিল্পকলাকে সম্পৃক্ত করা উচিত। তৃণমূল পর্যায়ের সবাইকে কাজ করার সুযোগ করে দিতে হবে। আর শুধু শিল্পকলা নয়, মাদকমুক্ত সমাজ ও সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা আমাদের জীবনাচরণে প্রয়োগ করতে না পারলে সেটি হবে ভয়াবহ। শিল্প চর্চার মধ্যে থাকলে অপসংস্কৃতি ও মাদকের করালগ্রাসও থাকবে না।
শিল্পকলা একাডেমিতে ভর্তি চলছে, ভর্তি ফি বাবদ ১০০ টাকা নিচ্ছি আমরা। শিল্পকলা একাডেমিতে শিল্পীসহ ইয়াং জেনারেশনের কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। শিল্পাঙ্গনকে মাদকমুক্ত রাখতে দেশজুড়ে নিয়মিত কালচারাল অনুষ্ঠান করতে হবে। এভাবে শিল্পকলা একাডেমির মাধ্যমে দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য বিরাট একটি অবদান রাখা যেতে পারে।
তাহেরপুর পৌর শিল্পকলা একাডেমির কমিটি বৃন্দরা হলেন, সভাপতিঃ খন্দকার শায়লা পারভীন সাবেক মেয়র তাহেরপুর পৌরসভার, প্রধান পৃষ্ঠপোষকঃ অধ্যক্ষ মোঃ আবুল কালাম আজাদ মেয়র তাহেরপুর পৌরসভা, উপদেষ্টাঃ মোঃ আবু বাক্কার মৃধা মুনছুর সভাপতি তাহেরপুর পৌর আ.লীগ, ও মোঃ জাহাঙ্গীর আলম প্রভাষক দ্বীপনগর কলেজ, পরিচালনায়ঃ মোঃ মাসুদ রানা প্রভাষক তাহেরপুর কলেজ, প্রশিক্ষকঃ মোঃ শরিফুল ইসলাম-সংগীত শিক্ষক, মোঃ আওয়াল মাসুম-তবলা শিক্ষক, মোঃ ইমন-নৃত্য শিক্ষক।