• শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ঘুষকাণ্ডে দালালির দায়ে সাসপেন্ড হিটলার মার খেয়ে মামলা করে আপোসও করে তিনিই! পুঠিয়ায় ট্যাপেন্টাডল সহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা পুঠিয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুকুরে মাছ শিকার! প্রতিহিংসার রাজনীতি নয়, দলীয় ঐক্য গড়ুন: আরিফ-শাকিল বাগমারায় আ.লীগ নেতা ও ক্যাডার আক্কাস আলী মাস্টার গ্রেফতার দখলদার হিটলার-বুলবুল গংদের আড়াই মাসে কয়েক লক্ষ টাকা ঘাপলা রাজশাহী বাঘায় গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ রাজশাহীতে চাঁদাবাজি ও দখলদারত্ব বন্ধে কঠোর হুশিয়ারি যুবদল নেতা রবি’র দুর্গাপুরে হোজা নদী পুন:খনন ও দখল মুক্ত করতে ইউএনও’কে স্মারকলিপি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম ২ টাকা কেজি!

সংবাদদাতা:
সংবাদ প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৭ মে, ২০২২
প্রথম আলো
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম ২ টাকা কেজি!

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ঝড়ে গাছ থেকে ঝরে পড়েছে অসংখ্য আম। ছোট-মাঝারি ধরনের অপরিপক্ক এসব আম প্রতি মণ ৮০-২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কেজি ২-৫ টাকা।

 

মঙ্গলবার (১৭ মে) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে সড়কের আশপাশ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের মকরমপুর ব্রিজ, কাঞ্চনতলা, বোয়ালিয়া বাজার, ঘাটনগর ও মিনিবাজার এলাকায় শত শত মণ আম কিনে জড়ো করেছেন ব্যবসায়ীরা। রাতে ট্রাকযোগে এগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হবে।

 

এর আগে সোমবার (১৬ মে) রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড় হয়। এ সময় অপরিপক্ক এসব আম ঝরে পড়ে।

 

উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের বৈরতলা গ্ৰামের আজাদ আলী জাগো নিউজকে বলেন, ‘গতকালের ঝড়ে সাত বস্তা আম কুড়িয়েছিলাম। এসব আম আড়াই থেকে তিন টাকা কেজি করে বিক্রি করলাম। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ৬০০ টাকার আম বিক্রি করেছি। আর আচার করার জন্য কিছু ফজলি আম বাড়িতে রেখেছি।

 

ঝড়ে ঝরে পড়া ১০ মণ আম কুড়িয়েছেন বোয়ালিয়া বাজার এলাকার জসিম উদ্দিন। এগুলো বাড়িতে বস্তা ভর্তি করে রেখেছিলেন। তিনি বলেন, ‘বিক্রি করবো বলে ক্রেতা খুঁজছিলাম। না পেয়ে মকরমপুর ব্রিজের এখানে নিয়ে এসে ৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলাম।

 

মকরমপুর ব্রিজের আম ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদ বলেন, ‘ভোর থেকেই প্রায় এক ট্রাক আম কিনেছি। এসব আমের দাম পড়েছে ৮০-১১০ টাকা মণ। এরই মধ্যে একটি ট্রাকে করে ৩০০ বস্তা আম ঢাকায় পাঠিয়ে দিয়েছি। সন্ধ্যা হতে হতে আরও এক ট্রাক কিনবো

 

আশ্বিনা, লক্ষণভোগ ৩-৪ টাকা আর ফজলি আম ৫ টাকা কেজি দরে কিনেছেন বলে জানালেন ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদ।

 

তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আম পাঠাই। সেখানে এক মণ আম বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা মণ দরে। কিন্তু ট্রাক ভাড়া অনেক বেশি।

 

এদিকে শিবগঞ্জ উপজেলায়ও কিছু কিছু স্থানে আম কেনাবেচা করতে দেখা গেছে। উপজেলার চককীর্তি এলাকায় আম ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘সকাল থেকে ৫ টাকা কেজি দরে প্রায় ৫০ মণ আম কিনেছি। এগুলো চট্টগ্রামে পাঠাবো।’

 

গোমস্তাপুর উপজেলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার জাগো নিউজকে বলেন, সোমবার রাতে উপজেলাজুড়ে হালকা ঝড় হয়েছে। এতে আম ও লিচুর কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যায়নি। বোয়ালিয়া ইউনিয়নে ক্ষতির পরিমাণ বেশি বলে জানান তিনি।

 

(ছবিটি কেবলমাত্র প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে)

সংবাদটি শেয়ার করুন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

Recent Comments

No comments to show.