• শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ঘুষকাণ্ডে দালালির দায়ে সাসপেন্ড হিটলার মার খেয়ে মামলা করে আপোসও করে তিনিই! পুঠিয়ায় ট্যাপেন্টাডল সহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা পুঠিয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুকুরে মাছ শিকার! প্রতিহিংসার রাজনীতি নয়, দলীয় ঐক্য গড়ুন: আরিফ-শাকিল বাগমারায় আ.লীগ নেতা ও ক্যাডার আক্কাস আলী মাস্টার গ্রেফতার দখলদার হিটলার-বুলবুল গংদের আড়াই মাসে কয়েক লক্ষ টাকা ঘাপলা রাজশাহী বাঘায় গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ রাজশাহীতে চাঁদাবাজি ও দখলদারত্ব বন্ধে কঠোর হুশিয়ারি যুবদল নেতা রবি’র দুর্গাপুরে হোজা নদী পুন:খনন ও দখল মুক্ত করতে ইউএনও’কে স্মারকলিপি

গোদাগাড়ীতে কলেজ শিক্ষিকার জমি অন্যের পক্ষে রায় দেওয়ার অভিযোগ সহকারি কমিশনারের উপর

সংবাদদাতা:
সংবাদ প্রকাশ: শনিবার, ৭ মে, ২০২২
Prothom alo news
গোদাগাড়ীতে কলেজ শিক্ষিকার জমি অন্যের পক্ষে রায় দেওয়ার অভিযোগ সহকারি কমিশনারের উপর

মিজানুর রহমান: বিডি নিউজ২৩/bd news23ঃ গোদাগাড়ীর সহকারি কমিশনার (ভুমি) তাছমিনা খাতুন ও সার্ভেয়ার মোক্তারুজ্জামানের অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ সহ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গোদাগাড়ী মহিলা কলেজের সহকারি অধ্যাপক ফজিলাতুন নেছা।

 

৭ এপ্রিল শনিবার বেলা ৩টার সময় রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ফজিলাতুন নেছা তার লিখিত বক্তব্যে বলেন গোদাগাড়ী উপজেলার রামনগর মৌজার জেএল দাগ নং ১৯, আর এস ২০৭, জমির পরিমান ০.২৭ উল্লেখিত জমি আমার মায়ের ক্রয়কৃত। সেই জমির সকল বৈধতা দেখে জেনে খারিজ হয়। ১৪২৮ সাল পর্যন্ত খাজনা গ্রহণ করেন ভুমি অফিস।

 

তিনি বলেন উল্লেখিত জায়গার উপর একটি কুচক্র মহলের নজর পড়ে। সেই কুচক্র মহল গোদাগাড়ীর সহকারি কমিশনার ভুমির সাথে আতাত করে সেই জমি নিজেদের দাবি করে একটি নাটকীয় আবেদনের মাধ্যমে গত ২০/৪/২০২২ তারিখে একটি মনগড়া প্রতিবেদন দাখিল করেন সহকারি কমিশনার ভুমি। সেই প্রতিবেদনে তিনি স্পষ্ট ভাবে কিছু উল্লেখ করতে পারেনি। তিনি বৈধ দলীল ও কাগজের নাম মাত্র অযুহাত দেখিয়ে অপর পক্ষের নিকট থেকে ১৫ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে তাদের পক্ষে রায় প্রদান করেন। তার এমন বিষয় নিয়ে আমার পুরো পরিবার চিন্তিত হয়ে পড়ি।

 

তিনি আরো বলেন, আমার মায়ের ক্রয়কৃত জায়গাটি ভাগ বাটোয়ারায় আমার ভাগে পড়ার কারনে বিষয়টি নিয়ে আমি ও স্বামী বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে জানতে পারি যে এই জমি দখল নিতে মাদক ব্যবসায়ি চক্র-রা জড়িত। যারা কালো অর্থে সজ্জিত তাদের সাথে হাত মিলিয়ে আমার পরিবারকে হয়রানি করছেন। গোদাগাড়ী উপজেলা সহকারি কমিশনার ভুমি আমার বৈধ কাগজ দলীল থাকার পরেও তিনি কিভাবে এমন নাটকীয় ঘটনার জন্ম দিলেন সেটি আমি স্পষ্ট নয়। আমি একজন শিক্ষিকা হয়ে সত্য উদঘাটন নিয়ে আজ অসহায়ত্ব বোধ করছি।

 

আজ মাদক সম্রাট ভুমি দস্যু আর স্বার্থ লোভী সহকারি কমিশনার ভুমির রষাণলে পড়ে নিজের বৈধ জায়গা নিয়ে বিপাকে পড়েছি। গোদাগাড়ী ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার মোক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে পুর্বেও নানা অভিযোগ রয়েছে। সিরাজ গঞ্জের এই চতুর ব্যক্তির বিরুদ্ধে গোদাগাড়ী উপজেলার মাদার পুরের জৈনক ব্যক্তির ২য় স্ত্রীর সাথে নারী কেলেংকারির অভিযোগ রয়েছে।

 

পুর্বে সরকারি পুকুর অবৈধ ভাবে দেওয়ার চেষ্টা এই নিয়ে আদালতে মামলা সহ নানা অভি্যোগ রয়েছে এই ভুমি অফিসের বিরুদ্ধে। অধ্যাপক ফজিলাতুন নেছা কান্না জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের বলেন আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে অপরাধীদের রষাণলে পড়ে আজ নিজের জমি নিয়ে ভুমি সহকারি কর্মকর্তার অনৈতিক ফাঁদে পড়ে সঠিক সমাধানের দিন গুনছি। ভুমি সহকারি কর্মকর্তার অপসারন সহ তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান কলেজ শিক্ষিকা।

সংবাদটি শেয়ার করুন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

Recent Comments

No comments to show.