বিডি নিউজ২৩/BD News23: রাজশাহী জেলার বেশ কয়েকটি রাস্তায় রাতের আধারে হোন্ডা চালিয়ে দ্রুতগতিতে মানুষের হাত থেকে মোবাইল থাবা দিয়ে কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যায় একশ্রেণীর ছিনতাইকারীরা। ইতোমধ্যেই পুঠিয়া থেকে তাহেরপুর এ রাস্তা অনেকটাই নিরাপদ হয়েছে। পুঠিয়া থেকে আড়ানী এ রাস্তাও বর্তমানে অনেকটা নিরাপদ রয়েছে। এই দুটি রাস্তা ছাড়াও গ্রামের ভেতরের ঝলমলিয়া থেকে মোল্লাপাড়া এ রাস্তাতেও মাঝে মাঝে শোনা যায় মোবাইল ছিনতাই হওয়ার মতো ঘটনা।
মাত্র কিছুদিন আগে তাহেরপুর টু পটিয়া এ রাস্তার মধ্যে ধর্ষণ সহ ছিন্তাই হয়েছিল এর আগে পুঠিয়া টু আর আমি রাস্তার পকেট খালি নামক জায়গায় এক পুলিশের সদস্য ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে ছিলেন।
ঈদকে সামনে রেখে মোবাইল ছিনতাই চক্রের দৌরাত্ম্য অনেকটাই বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। ছিনতাইকারীরা প্রথমে দূর থেকে টার্গেট করেন কে মোবাইল হাতে নিয়ে আলো দিয়ে রাস্তা দিয়ে হেটে যায় তারপর পিছন থেকে বা সামনে থেকে ছিনতাইকারীরা হোন্ডা চালিয়ে দ্রুতগতিতে এসে হাতে থাবা মেরে মোবাইলটি নিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে।
রাজশাহী মহানগরীতে মোটরসাইকেল হাঁকিয়ে পেশাদার দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ। এসময় আসামীদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার হয় এবং ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, নগরীর বোয়ালিয়া টিকাপাড়ার খোদাদাদ ইয়ামিত সেলির ছেলে সালেকীন ইয়ামিন শাওন (৩৮) ও তার সহযোগী সুলতানাবাদের সিরাজুল ইসলামের ছেলে সোহানুর ইসলাম মিম (১৯)।
আরএমপি সূত্রে জানাযায়, গত ২৫ এপ্রিল বিকেল সোয়া ৫ টার দিকে জনৈক এক মেয়ে অলকার মোড় হতে হেটে বাড়ি ফিরছিল। সে ষষ্ঠিতলা পাপিয়া টেইলার্সের সামনে পৌঁছালে পিছন থেকে কালো রংয়ের মোটর সাইকেলে দুইজন ব্যক্তির মধ্যে পিছনে বসে থাকা ব্যক্তিটি সাথীর ভ্যানিটি ব্যাগ জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত গতিতে থিম ওমর প্লাজার দিকে চলে যায়।
ভ্যানিটি ব্যাগে সাড়ে ৪ হাজার টাকা ও একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ছিলো। পরে ওই মেয়ের বাবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা করা হয়। মামলা করার পর উপ-পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া) সাজিদ হোসেনের তত্ত্বাবধানে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ আসামিদের নাম ঠিকানা ও অবস্থান সনাক্তপূর্বক গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেন।
পরবর্তীতে আরএমপি সাইবার ক্রাইম ইউনিট তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে আসামি শনাক্ত করে। এরপর সহকারি পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া) এর নেতৃত্বে এম শহীদুল্লাহ কায়সার ও তার টিম গতকাল ৩০ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ১২ টায় নগরীর সুলতানাবাদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পেশাদার ছিনতাইকারী সালেকীন ইয়ামিন শাওন ও তার সহযোগী আসামি সোহানুর ইসলাম মিমকে গ্রেফতার করেন
এসময় আসামীদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার হয় এবং ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। (বিশেষ দ্রষ্টব্য ছবিটি কেবলমাত্র প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।)