রাজশাহীতে একটি ঘরের জন্য কান্না প্রতিবন্ধীর ৫ সদস্যের এক পরিবারের

মোস্তাফিজুর রহমান জীবন, রাজশাহী: বিডি নিউজ২৩/BD News23: সারাবছর যেমন তেমন ভাবে কাটালেও বর্ষা আর ঝড়ের মৌসুমে যেন দুঃখের শেষ থাকে না এই পরিবারটির। সারাবছর দুঃখে কষ্টে কাটলেও ঝড়-বাদল যখন মাথার উপর দিয়ে যায় তখন দুঃখ কষ্ট আরো একধাপ যেন বেড়ে যায়। এমনই এক কষ্ট করে থাকা পরিবারের সন্ধান পাওয়া গেছে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায়।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন বা ভূমিহীন থাকবে না।’ তার এই ব্রতকে সামনে রেখেই মুজিববর্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এঁর আওতায় তৃতীয় পর্যায়ে রাজশাহীতে ১১৪৯ গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবার দুর্যোগ সহনীয় সেমিপাকা ঘর পেলেন। সারা দেশে গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণের এই মহাযজ্ঞে রাজশাহীতে এর আগে ১ম ধাপে ৬৯২টি ও ২য় ধাপে ৮৫৪টি সুদৃশ্য রঙিন টিনশেডের সেমিপাকা বাড়ি পেয়েছেন গৃহহীন ও ভূমিহীনরা।

এর ধারাবাহিকতায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন আবাসন প্রকল্পের দেওয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহাররের বাড়ি চান শারিরীক প্রতিবন্ধি রাজ্জাক।

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের হাসনিপুর মৃত সাধন মন্ডল এর ছেলে শারিরিক প্রতিবন্ধি আব্দুর রাজ্জাক (৪২)। ছোট বেলায় পিতাকে হারিয়েছেন। মাতা অপিজান বিবি মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ছোট ছেলেকে বড় করেছেন। আব্দুর রাজ্জাক এর পেশা ছিলেন ট্রাক ডাইভার, ২০১১ সালে গাড়ি এক্সিডেন্টে তার এক পা কেটে ফেলা হয়।

সেইদিন থেকে তিনি শারিরীক প্রতিবন্ধি।
সংসার ভালোই চলছিলো ছোট এই সংসারে এখন সদস্য সংখ্যা ৫ জন। কিন্তু মাথা গোজার ঠাই মাত্র একটি। ১ টি ঘরের ভিতরে ২ টি চকি।
১ টি চকিতে থাকেন বৃদ্ধা অপিজান আর বিবাহিত নাতনি। অপর পাশের চকিতে থাকেন আব্দুর রাজ্জাক এর ছেলে সজিব মন্ডল । ঘরের বাহিরে ঝড়,বৃষ্টি অপেক্ষা করে দিন পারি দেন শারিরীক প্রতিবন্ধি আব্দুর রাজ্জাক ও তার স্ত্রী।

আব্দুর রাজ্জাক এর এক ছেলে এক মেয়ে মেয়ে কে বিয়ে দিয়েছে কিন্তু জামাই আনতে পারেনি এখনো। কারন তার কোন সোবার ঘর নাই জামাই এসে থাকবে কোথায়। এমনকি ছেলেকে বিয়ে দিতে হবে তাও পারছেন না। শারিরীক প্রতিবন্ধি আব্দুর রাজ্জাক কান্না কন্ঠে একটি উপহার হিসেবে ঘর চান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। এখানে মা,স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, নাতি, নাতনি নিয়ে বাকি জীবনটা যেন পার করতে পারি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *