পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়ায় আদালতের আদেশকে অমান্য করে জমিতে চাষ করার সময় মারামারিতে রহেদ আলী (৩৫) নামের এক ব্যক্তি গুরুত্বর আহত হয়েছে। সোমবার সকালে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার ভালুকগাছী ইউনিয়নের হাড়োগাথী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী করেন ভূক্তভোগী পরিবার।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার ভালুকগাছী ইউনিয়নের হাড়োগাথী গ্রামে দীর্ঘ দিন থেকে জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসেছে। গত সোমবার সকালে আদালতের আদেশকে অমান্য করে একই গ্রামের মৃত বদিউদজ্জামান এর ছেলে শহিদ সহ ৮/১০ জন জমিতে গিয়ে জোর পূর্বক পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ শুরু করে।
সেই সময় একই গ্রামের মৃত এবারত প্রাং এর ছেলে রহেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা নিষেধ করে। এ সময় তারা পরিকল্পিত ভাবে তাকে মারধর করে। এক সময় ইট দিয়ে আঘাত করে রহেদের মাথা ফাটিয়ে দেয়। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে গুরুত্বর অবস্থায় উদ্ধার করে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মাথায় দুইটি স্থানে ৬টি সেলাই করেন। এরপর তিনি পুঠিয়া থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ জমা দেন।
রহেদ আলী জানান, আর.এস খতিয়ান নং-৯০ এ আমার পিতা এবারত প্রাং এবং মাতা মমেনা বিবির নামে মোট ১ একর ৪৪ শতক জমি রয়েছে। এরমধ্যে মাতা মমেনা বিবির রের্কড মোতাবেক ৩ আনা ১৩ গোন্ড হিসেবে ২৫২ নং দাগে ৩৩ শতক জমি প্রাপ্ত হয়। অনুমান ১৯৬৯ সালের দিকে ৩৩ শতক জমি খোকসা গ্রামের ঠঙ্কু বুড়ার স্ত্রী সরুফা বেগমের নিকট বিক্রয় করে দেন তিনি।
এছাড়া স্বামীর মৃত্যুর পরে ২ আনা অংশ হিসেবে ৫ দাগের মধ্যে ১৩ শতাংশ জমি প্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে মমেনা তার প্রাপ্ত ১৩ শতক জমি ২৫৩ দাগে ৩৪ এর কাত ১৩ শতক জমি ২০০৪ সালে একই গ্রামের মৃত বদিউদজ্জামান এর ছেলে শহিদ দিং এর নিকট বিক্রয় করে দেন। কিন্তু বিক্রয়কৃত ১৩ শতক জমির স্থলে একই দাগে স্বামীর নামে থাকা জমি সহ ৩৪ শতক জমি রেজিঃ করে নেন। এ ব্যাপারে আদালতে মামলা থাকায় ইতিমধ্যে আদালতের পিয়ন এসে শহিদ দিং কে আদালতের নিষেধাজ্ঞা পত্র দিয়ে যায়।
পরবর্তীতে গত শনিবার পুঠিয়া থানার এএসআই হাফিজ এসে পুনঃরায় শহিদ দিং কে আদালতের নিষেধাজ্ঞা পত্র দিয়ে নিষেধ করে যায়। তারপরও সেই সব নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি চাষ করে দখলের চেষ্টা করছে। তাই বিষয়টি প্রশাসনের নিকট সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী করছি।
এ ব্যাপারে মৃত বদিউদজ্জামান এর ছেলে আব্দুল মতিন জানান, আমরা ক্রয় সূত্রে সেই জমির মালিক। আমাদের দলিল আছে। সেই জমি তার মা রেজিঃ করে দিয়েছে। আর সেই দিন মারামারিতে আমার ভাই শহিদ আহত হয়েছে এবং সে মেডিকেলে ভর্তি আছে।
থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।