বদর যুদ্ধে মোট ১৪ জন সাহাবি শহীদ হয়েছিলেন, এবং কাফিরদের ৭০ জন মৃত্যু বরন করেছিলেন এবং ৭০ জন কাফির মুশরিক বন্দি হঢেছিলো। পক্ষান্তরে মুসলমানদের কেউ বন্দি হয়নি…More
বিডি নিউজ২৩/bd news23ঃ হিজরির ২য় সনে ১৭ রমজান (১৭ মার্চ ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দ) মদিনার মুসলিম ও মক্কার কুরাইশদের মধ্যে সংঘটিত হয় ইসলামের ইতিহাসে প্রথম প্রধান যুদ্ধ। এটি বদর নামক উপত্যকায় সংঘটিত হয়েছিল বলে একে গজওয়ায়ে বদর বলা হয়। হুজুর পাক ﷺ তাঁর ৩১৩ জন সাহাবাদের নিয়ে মক্কার হাজারোধিক কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বিজয় লাভ করেছিলেন। এ যুদ্ধে মোট ১৪ জন সাহাবা শহীদ হন অপর পক্ষে ৭০জন মুশরিককে হত্যা ও আরো ৭০জনকে বন্দী করা হয়। বদরের যুদ্ধে মহান আল্লাহ তাআলা সরাসরি ফেরাস্তা প্রেরণের মাধ্যমে মুসলমানদের সাহায্য করেন। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনুল করিমে এরশাদ হচ্ছে…
‘‘বদরের যুদ্ধে যখন তোমরা হীনবল ছিলে, আল্লাহ তো তোমাদের সাহায্য করেছিলেন। সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, যাতে
তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। (সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১২৩-১২৫)
বদরের যুদ্ধে শহীদকৃত সাহাবাদের নামঃ
১. হযরত ওবায়দা ইবনে হারিছ (রাঃ) – মোহাজের। ২. হযরত ওমায়ের ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাঃ) – মোহাজের। ৩. হযরত যুশ-শিমালাইন (রাঃ) – মোহাজের। ৪. হযরত আকিল ইবনে বুকাইল (রাঃ) – মোহাজের। ৫. হযরত মাহজা ইবনে সালেহ (রাঃ)- মোহাজের। ৬. হযরত সাফওয়ান ইবনে বায়দা (রাঃ) মোহাজের। ৭. হযরত সাদ ইবনে খায়সামা (রাঃ) – আনসার। ৮. হযরত মুবাশ্বর ইবনে আবদুল মুনযির (রাঃ) – আনসার। ৯. হযরত ওমায়ের ইবনে হুমাম (রাঃ) – আনসার। ১০. হযরত ইয়াযিদ ইবনে হারিছ (রাঃ) – আনসার।
১১. হযরত রাফি ইবনে মুয়াল্লাহ (রাঃ)- আনসার। ১২. হযরত হারিছা ইবনে সুরাকা (রাঃ) – আনসার। ১৩. হযরত আওফ ইবনে হারিছ (রাঃ) – আনসার। ১৪. হযরত মুআওবিয ইবনে হারিছ (রাঃ) – আনসার।
হে আল্লাহ! আজকের এই বিশেষ দিনে আপনার প্রিয় হাবীব ﷺ ও বদরী সাহাবাদের উসিলায় আমাদেরকে ক্ষমা করুন। (হাফেজ্জী (রহ:) সেবা সংস্থা)।
এই লেখার মাঝে কিছু ভুলত্রুটি থাকতে পারে, যদি কোনো ভুল থাকে তার জন্য আমরা দুঃখিত। তাই আপনার কাছে সঠিক কোনো তথ্য থাকলে দিয়ে সহায়তা করতে পারেন।