• সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহীতে অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীর বাঁচার আকুতি লীগপন্থীকে বাঁচানোর চেষ্টা, অপপ্রচার করে শ্রম আইন বাস্তবায়নে বাঁধা প্রদান রাজশাহীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তার ভবন নির্মাণ দুর্গাপুরে “অরবিট কোচিং”সেন্টারে এসএসসি প্রস্তুতি ক্লাসের শুভ উদ্বোদন রাজশাহীর দুর্গাপুরে ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিলসহ গ্রেপ্তার-৩ রাজশাহীর দুর্গাপুরে বিএনপির আয়োজনে বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত আরসিসিআই’র আয়োজনে সচেনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত দুর্গাপুরে খালেদা জিয়াকে নিয়ে কটুক্তি করায় গ্রেপ্তারের  দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ সাংবাদিকদের সঙ্গে রাজশাহীর নবনিযুক্ত ডিসির মতবিনিময় একসাথে কাজ করার আহ্বান সাহায্যের আবেদন, বাগমারার রায়হানকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন

বাসর ঘরে নব বধূকে দুলাভাইয়ের ধর্ষণ পরে গ্রেপ্তার

সংবাদদাতা:
সংবাদ প্রকাশ: শনিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২২
প্রথম আলো
বাসরঘরে নববধূকে দুলাভাইয়ের ধর্ষণ পরে গ্রেপ্তার

বিডি নিউজ২৩: বগুড়ার ধুনটে বাসরঘরে স্বামীর সহযোগিতায় নববধূকে তার দুলাভাই একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

ভুক্তভোগী নববধূর বাবা বাদী হয়ে শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি আলমগীর হোসেনকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত আলমগীর সিরাজগঞ্জ সদরের ভুরভুড়িয়া গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে। শনিবার দুপুরে ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার নববধূ (১৮) উপজেলার বিশ্বহারিগাছা গ্রামের এক কৃষকের মেয়ে। একই এলাকার সরোয়া-পাঁচথুপি গ্রামের ফেরদৌস আলমের ছেলে মানসিক প্রতিবন্ধী ফরিদুল ইসলামের সাথে ২৩ মার্চ মেয়েটির বিয়ে হয়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাতেই নববধূকে তার বাবার বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে নেয় বরপক্ষ।

রাত সাড়ে ১১টায় নববধূ ও তার স্বামী ফরিদুল বাসরঘরে প্রবেশ করে। এ সময় ফরিদুলের ভগ্নিপতি আলমগীর হোসেন শরবতের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে নববধূকে পান করায়। কিছুক্ষণ পর বাসরঘরের বিছানায় ঘুমিয়ে পড়ে নববধূ। মামলায় বলা হয়, এরপর ফরিদুলের সহযোগীতায় আলমগীর হোসেন সকাল পর্যন্ত নববধূকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরের দিন (২৪ মার্চ) সকাল ৬টায় নববধূ ঘুম থেকে উঠে দেখেন আলমগীর হোসেন তাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছেন। আর তার স্বামী ফরিদুল ইসলাম একই ঘরের পাশের বিছানায় ঘুমিয়ে আছেন। এ বিষয়টি তার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে জানালে তারা কোনো কর্ণপাত করেনি। উল্টো নববধূকে তারা শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন।

এ অবস্থায় ২৫ মার্চ রাতেও একই কৌশল অবলম্বন করতে থাকে আলমগীর হোসেন। তখন টের পেয়ে নববধূ তার বাবাকে মোবাইল ফোনে ঘটনাটি খুলে বলে। পরে স্বামীর বাড়ি থেকে তার বাবা তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। ঘটনায় ভুক্তভোগী নববধূর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আলমগীর হোসেন, নববধূর স্বামী ফরিদুল ইসলাম ও শ্বশুর-শাশুড়িকে আসামি করা হয়েছে।

ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এছাড়া নববধূর শারীরিক পরীক্ষার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এরপর আদালতে তার জাবানবন্দি রেকর্ড করা হবে

সংবাদটি শেয়ার করুন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

Recent Comments

No comments to show.