বিডি নিউজ২৩: বগুড়ার ধুনটে বাসরঘরে স্বামীর সহযোগিতায় নববধূকে তার দুলাভাই একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
ভুক্তভোগী নববধূর বাবা বাদী হয়ে শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি আলমগীর হোসেনকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত আলমগীর সিরাজগঞ্জ সদরের ভুরভুড়িয়া গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে। শনিবার দুপুরে ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার নববধূ (১৮) উপজেলার বিশ্বহারিগাছা গ্রামের এক কৃষকের মেয়ে। একই এলাকার সরোয়া-পাঁচথুপি গ্রামের ফেরদৌস আলমের ছেলে মানসিক প্রতিবন্ধী ফরিদুল ইসলামের সাথে ২৩ মার্চ মেয়েটির বিয়ে হয়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাতেই নববধূকে তার বাবার বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে নেয় বরপক্ষ।
রাত সাড়ে ১১টায় নববধূ ও তার স্বামী ফরিদুল বাসরঘরে প্রবেশ করে। এ সময় ফরিদুলের ভগ্নিপতি আলমগীর হোসেন শরবতের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে নববধূকে পান করায়। কিছুক্ষণ পর বাসরঘরের বিছানায় ঘুমিয়ে পড়ে নববধূ। মামলায় বলা হয়, এরপর ফরিদুলের সহযোগীতায় আলমগীর হোসেন সকাল পর্যন্ত নববধূকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরের দিন (২৪ মার্চ) সকাল ৬টায় নববধূ ঘুম থেকে উঠে দেখেন আলমগীর হোসেন তাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছেন। আর তার স্বামী ফরিদুল ইসলাম একই ঘরের পাশের বিছানায় ঘুমিয়ে আছেন। এ বিষয়টি তার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে জানালে তারা কোনো কর্ণপাত করেনি। উল্টো নববধূকে তারা শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন।
এ অবস্থায় ২৫ মার্চ রাতেও একই কৌশল অবলম্বন করতে থাকে আলমগীর হোসেন। তখন টের পেয়ে নববধূ তার বাবাকে মোবাইল ফোনে ঘটনাটি খুলে বলে। পরে স্বামীর বাড়ি থেকে তার বাবা তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। ঘটনায় ভুক্তভোগী নববধূর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আলমগীর হোসেন, নববধূর স্বামী ফরিদুল ইসলাম ও শ্বশুর-শাশুড়িকে আসামি করা হয়েছে।
ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এছাড়া নববধূর শারীরিক পরীক্ষার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এরপর আদালতে তার জাবানবন্দি রেকর্ড করা হবে