• বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহীর দুর্গাপুরে ইউপি চেয়ারম্যান পদে বসাতে রেজুলেশন জালিয়াতি! রাজশাহীতে নার্সিং শিক্ষার্থীদের এবার প্রতীকি ক্লাস ও বই পড়া কর্মসূচি আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে তাহেরপুর পৌরসভায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গণপিটুনিতে মৃত্যু রাজশাহীতে অধ্যক্ষের সাথে নারী প্রভাষকের পরকীয়ার সময় ধরে থানায় দিল জনতা দুর্গাপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল প্রতিনিধিদের দৌরাত্বে অতিষ্ঠ রোগী ও স্বজনরা রাজশাহীতে বিএনপির বিরুদ্ধে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন গণঅধিকার পরিষদ ট্রাক প্রতীকে নিবন্ধন পাওয়ায় মানিকগঞ্জে আনন্দ মিছিল রাজশাহীর দুর্গাপুর প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমাজের আহ্বায়ক কমিটি গঠন বাগমারার সাবেক এমপি-মেয়রের বিভিন্ন অপকর্মের বিচার চেয়ে মানববন্ধন

নওগাঁর সাপাহারে অসময়ে মিলছে কাটিমন জাতের পাকা আম

সংবাদদাতা:
সংবাদ প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২২

BD News23/বিডি নিউজ২৩: আমের রাজধানী খ্যাত নওগাঁর সাপাহারের আম ইতিমদ্যে সারা দেশ সহ বিদেশেও সাড়া ফেলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন প্রজাতির আম চাষে মেতে উঠেছেন এলাকার আমচাষীরা। যার ফলস্বরূপ সারা বছরই মিলছে কাটিমন জাতের আম। বর্তমানে এই জাতের পাকা আম পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। তবে দাম কিছুটা চড়া।

প্রতিকেজি আমের মূল্য দুইশ’ পঞ্চাশ থেকে তিনশ’ টাকা। এখন আর জ্যৈষ্ঠের ফল উৎসবে আম পাড়তে অপেক্ষা করতে হয় না সাপাহারের আমচাষীদের। মৌসুমী ফল আগাম জাতের আম বাজারে আসতে এখনও প্রায় দেড়মাস বাকী। আগাম ভাবে পাকা কার্টিমন আম বাজারে পেয়ে অনেকটাই খুশি ক্রেতারা। শুধু তাই নয় একদিকে কৃষক যেমন লাভবান হচ্ছে অপরদিকে ব্যবসায়ীরাও এই জাতের আম বিক্রি করে সন্তোষ প্রকাশ করছেন।

আমচাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মূলত মে থেকে সেপ্টেম্বর মোট ৫ মাস আমের মৌসুম থাকে। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে জুনের মাঝামাঝি সময়ে পাকে আগাম জাতের আম। ‘কাটিমন’ আম সারাবছর উৎপাদন হবার ফলে দাম ভালো পাওয়া যায়। ইতোমধ্যে এই আম চাষ করে লাভবান হচ্ছে অনেকে।

সরেজমিনে উপজেলার গোয়ালা ইউনিয়নের কোচকুড়লিয়া এলাকায় বকুল ৫ বিঘা ও একই ইউনিয়নের সারোকডাংগা এলাকার হাফিজুরের ১৫ বিঘা বারোমাসি আমবাগানে গিয়ে দেখা যায়, বরোমাসি আমের বাগান থেকে ‘কাটিমন’ আম পেড়ে কার্টুনে ভরে দেশের বিভিন্ন স্থানে কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠাচ্ছেন। হাফিজুর ও বকুল বলেন, ‘গত চার-পাঁচ বছর ধরে বারোমাসি আম চাষের সঙ্গে জড়িত।

এর আগে ভালো লাভবান না হলেও এবার আমের দাম ভালো হওয়ায় আমরা গত তিনমাসে প্রায় ২০ লাখ টাকার আম বিক্রি করেছি। আশা করছি সামনে ছয় থেকে আটমাসে আরও প্রায় ৩০ লাখ টাকার আম বিক্রি করবো।

তারা আরও বলেন, ‘এখনো আমাদের বাগানে পাকা আম আছে। এই আমের সব কাস্টমার অনলাইনে অর্ডারের মাধ্যমে কুরিয়ারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গাছ থেকে নামানো আম ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আমাদের বাগানে এখনও কাটিমন, বারি-১১, ২ ধরনের সুস্বাদু আম আছে।

বকুলের বাগানে কাজ করছিলেন কর্মচারী তুহিন। তিনি বলেন, ‘এ বাগানে সারা বছরই সুস্বাদু আম পাওয়া যায়। সেগুলো কার্টুনে করে দেশে বিভিন্ন স্থানে কুরিয়ার যোগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী রেদুয়ান মুন এবং আমক্রেতা বলেন, ‘এ গ্রামেই আমার বাড়ি রোজার প্রথম দিকে জানতে পারি বকুল ভাইয়ের বাগানে সুস্বাদু আম পাওয়া যাচ্ছে। তাই ইফতারিতে খাওয়ার জন্য দুই কেজি পাকা আম কিনতে এসেছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাপাহার উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শাপলা খাতুন বলেন, কাটিমন জাতের আম প্রায় সারাবছর পাওয়া যায়। এটি অনেক সুস্বাদু ও রসালো। যার ফলে অসময়ে আম খেতে পেয়ে অনেকেই সন্তোষ প্রকাশ করেন। বর্তমানে আম্রুপালি ও কার্টিমন জাতের আম সারাদেশে সাড়া পড়েছে।

যারা এধরণের আম চাষ করবেন তাদেরকে উপজেলা কৃষি অধিদফতর থেকে সকল প্রকার পরামর্শ ও সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

Recent Comments

No comments to show.