রাজশাহীতে ১০ মণ রড চুরির অভিযোগ ১০ বছরের শিশুর উপর!

মোস্তাফিজুর রহমান জীবন রাজশাহীঃ বিডি নিউজ২৩/BD News23: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের রামরামা পূর্ব পাড়া গ্রামে ১০ বছরের শিশু সোহান  অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

৬ এপ্রিল বুধবার বিকাল ৪ ঘটিকার সময় রামরামা পূর্ব পাড়া মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা মতে, বুধবার বিকাল আনুমানিক ৪ ঘটিকার সময় আসরের নামাজ পড়তে বাড়ি থেকে বাহির হয় ১০ বছরের শিশু সোহান।

সোহান রামরামা পূর্ব পাড়া খলিলের ছেলে। সংসারের অভাব অনটনের কারনে সোহান কে দাদা দাদির কাছে রেখে স্বামী-স্ত্রী মিলে ঢাকায় গার্মেন্টএ কাজ করেন সোহানের পিতা মাতা। সোহান আসরের নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বাহির হলে পিছন হতে একই এলাকার সাকিমুদ্দির ছেলে জাহাঙ্গীর (৪০) ডাক দেন। সোহান দাঁড়িয়ে গেলে রড চুরির অপবাদে তাকে মধ্যেযুগী কায়দায়  অমানবিক  নির্যাতন করেন। ছোট্ট এই শিশুকে ১০ মন রড চুরির অপবাদ দিয়ে লাথি, ঘুষি,চড়, আছাড় মারতে থাকে জাহাঙ্গীর।

এসময় ছোট্ট শিশুর সামনের দুই দাঁত দিয়ে রক্তে গায়ের কাপড় ভিজে যায়। ছোট্ট এই শিশু চিৎকার চেচামেচি করলে মসজিদ ও আশেপাশের লোক এসে সোহান কে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচান। শিশুটির শারিরীক অবস্থা খুব খারাপ দেখে দূত চিকিৎসার জন্য তাহেরপুর ক্লিনিকে গেলে চিকিৎসারত ডাক্তার দূত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ এ ভর্তি করার জন্য পরামর্শ দেন।

সাথে সাথে রাজশাহী মেডিকেল এ ভর্তি করার কারনে শিশুটি প্রানে বেঁচে যায়। বর্তমানে শিশুটির ডান হাতে তিনটি রড দেওয়া আছে আদো কোন দিন হাত ভালো হবে কি না পরিবার এ নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন। এদিকে অসহায় পরিবার শিশুর চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সোহানের দাদি বলেন, আমার নাতি কে জাহাঙ্গীর রড চুরির অপবাদে যেভাবে অমানবিক নির্যাতন করে  হাত  ভেঙ্গে দিয়েছে তা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমরা যেন কোন থানা পুলিশ না করি সেজন্য ভয়ভিতি হুমকি দিয়েছে। আমরা অসহায় ভয়ে থানায় মামলা করতে পারছি না।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন  আমার ছোট্ট নাতিকে যেভাবে নির্যানত করেছেন তার বিচার চাই।

জানতে চাইলে প্রত্যক্ষদর্শী মুনসুর বলেন, জাহাঙ্গীর যেভাবে ছোট্ট শিশুকে মারধর করেছে তা বলে বোঝাতে পারবো না। আমরা না এগিয়ে আসলে হয়তো শিশুটিকে মেরে ফেলতো।আমরা এই শিশু নির্যাতনের বিচার চাই।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *