প্রণোদনা বিতরণে অনিয়ম, বাগমারায় ঘুষ ছাড়া তালিকায় নাম উঠেনি খামারিদের

বিডি নিউজ২৩|BD News23: মোস্তাফিজুর রহমান জীবন রাজশাহী, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রাজশাহীর বাগমারা  উপজেলায়   করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের প্রণোদনা বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যেসব ক্ষতিগ্রস্ত খামারি মাঠকর্মীদের প্রণোদনার টাকার জন্য ঘুষ দিতে রাজি হয়েছে শুধু তাদেরই তালিকায় আনা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মাঠকর্মী থেকে শুরু করে জেলা  কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ঘুষের বিনিময়ে গবাদি পশু নেই এমন ব্যক্তিকেও প্রণোদনার টাকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

 

জানা যায়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতায় মহামারি করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত গরু ও মুরগি খামারিদের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি প্রকল্পের আওতায় বাগমারা উপজেলায় খামারিদের প্রণোদনার টাকা দেওয়া হয়েছে। ঘুষের বিনিময়ে অনিয়ম করে যাদের গবাদি পশু নেই তাদেরও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রনোদনা না পেয়ে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত খামারি হতাশা প্রকাশ করেছেন। সরকারি প্রণোদনার টাকায় অনিয়মকারী মাঠকর্মী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রণোদনা না পাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা।

 

বাগমারা উপজেলার বাসুপাড়া ও গোয়ালকান্দি ইউপি  সহ ভবানীগঞ্জ পৌরসভার বেশ কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্ত খামারীরা জানান, মাঠকর্মীরা তাদের খামার পরিদর্শনে এসেছিলো।সেই সময় অফিস খরচ বাবদ খামার প্রতি ৫হাজার টাকা চেয়েছিল, তারা সেই টাকা দিতে পারেনি তাই তাদের নাম তালিকায় উঠানো হয়নি কিন্তু যাদের কোন খামার নেই কিন্তু অফিস খরচ বাবদ ৫ হাজার টাকা দিয়েছেন তাদের নাম তালিকায় উঠানো হয়েছে।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে  প্রানিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় বাগমারা, থেকে প্রণোদনা প্রাপ্তদের তালিকা নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাসুপাড়া ইউপি’র  মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মোঃ রমজান আলী,মোঃ শাহিন আলম,মোছাঃ পলি বিবি ও গোয়ালকান্দি ইউপি’র রুবেল হক,খলিলুর রহমান,লালন শেখ,ওবাইদুল ইসলাম সহ ভবানীগঞ্জ পৌরসভার রাকিব হাসান,আলতাফ হোসেন,আমজাদ হোসেনের নেই কোন খামার অথচ প্রনোদনা প্রাপ্তদের তালিকায় রয়েছে তাদের নাম।

 

করোনাকালীন  সংকট মুহূর্তের জন্য প্রাণিসম্পদ ও দুগ্ধ উন্নয়ন প্রকল্পে (এলডিডিপি) গাভি খামারিদের প্রণোদনার জন্য দুই ধাপে এই  উপজেলায়  খামারীদের অনুকূলে কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। অনিয়ম দুর্নীতিতে সে টাকা পেতে আসল খামারিরা বঞ্চিত হয়েছেন। বরাদ্দের পুরো টাকার অর্ধেক একটি চক্র নামে বেনামে হাতিয়ে নেয়ার ঘটনার সঙ্গে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সহ জেলা প্রানিসম্পদ অফিস ও বিভাগীয় অডিট কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসানের  সম্পৃক্তার কথা জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক  রাজশাহী জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে কর্মরত  একজন কর্মকর্তা । তবে    অভিযোগ অস্বীকার করে রাজশাহী জেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ড.জুলফিকার মোঃ আখতার হোসেন জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে  ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *