বিডি নিউজ২৩|BD News23: সংসারের অভাব অনটন দূর করে বাবা-মাকে একটু সুখে শান্তিতে রাখবে এমন আশা করি পাড়ি জমিয়েছিলেন দূর প্রবাস সিঙ্গাপুরে। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস বাবা-মাকে কিছুটা অর্থনৈতিক সহায়তা করতে পারলেও দুঃখের সাগরে যেন ভেসে বেড়াচ্ছে রফিকুল ইসলামের বাবা মা। ছেলেটিকে হারিয়ে যেন অকুল সাগরে হারিয়ে গেছেন রফিকুল ইসলামের পিতা মাতা কোনভাবেই কোন সান্ত্বনা কাজে আসছে না ছেলের নাম ধরে ধরে বাবা-মা কাঁদছেন আর এলাকায় দেখা দিয়েছে শোকের মাতম।
আবারো বিদায় নিলেন আরো এক রেমিটেন্স যোদ্ধা। মাত্র কয়েক বছর আগে বড় ভাইয়ের সহায়তায় সিঙ্গাপুরে জান ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার আংগারগাড়া বাজারের রফিকুল ইসলাম। সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে চলেও আজ সিঙ্গাপুর সময় রাত তিনটা বিশ মিনিটে সময় মারা যান তিনি।
জানা যায় যে, রফিকুল ইসলাম আজ রাতে (২৮শে মার্চ) টয়লেটে গেলে পা পিছলে সেখানে পড়ে যায়, এরপর মাথায় জোরালো ভাবে আঘাত লাগলে দ্রুত রফিকুল ইসলামকে হাসপাতালে নেয়া হয়, এরপর সে কোমায় চলে যায়। সেখান থেকে রাত তিনটা বিশ মিনিটের সময় রফিকুল ইসলাম নামের এই রেমিটেন্স যোদ্ধা দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে চলে যায়।
রফিকুল ইসলামের বড় ভাই আবদুল মান্নান তিনিও একজন সিঙ্গাপুর প্রবাসী দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরের থেকে ছোট ভাইকে সিঙ্গাপুরে প্রতিষ্ঠা করে দেশে চলে আসেন।
রফিকুল ইসলাম গত ২ মাস আগে দেশে এসে বিয়ে করে আবারো বউ বাংলাদেশের রেখেছি না পড়ে চলে যান। সদ্য বিবাহিত রফিকুল ইসলামের বাড়িতে যেন কোনোভাবেই শোকের মাতম কাটছে না। কে দেবে সান্তনা সেই ভাসাও কারো জানা নেই ডুকরে কাঁদছে তার নব বিবাহিত স্ত্রীও। রফিকুল ইসলাম বিয়ে করে বউ এর সাথে বলেছিলেন অল্পকিছুদিন সিঙ্গাপুরের থেকেই অল্প কিছু ক্যাশ টাকা পয়সা হাতের জমলেই তিনি আর বিদেশে থাকবেন না চলে আসবেন বাংলাদেশে এসে দেশেই একটা কিছু করার চিন্তা ছিল।
ছোট্ট সংসার এর নববিবাহিত স্বামী স্ত্রীর যেন হাজারো স্বপ্ন এক মুহূর্তের মধ্যে শেষ হয়ে গেল পূরণ হলো না দেশে এসে বাবা-মা-ভাই-বোন আর স্ত্রীকে নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করা। প্রবাসী রফিকুল ইসলামের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সকল সিঙ্গাপুর প্রবাসী সহ নানান দেশের প্রবাসীরা।
উল্লেখ্য যে, রফিকুল ইসলামের মরদেহ কবে কখন বাংলাদেশে পৌঁছাবে সে সংক্রান্ত কোন তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি তবে খুব দ্রুত রফিকুল ইসলামের মরদেহ বাংলাদেশ আসবেন বলে অনেকেই ধারণা করছেন।
(©)বিডি নিউজ২৩: পক্ষ থেকে ছোট্ট একটি কথা:- দেশে বা প্রবাসে যে যেখানেই কাজ করছেন সবাই একটু নিরাপত্তা সহিত চলাচল করবেন। কর্মক্ষেত্র বা চলাচলের ক্ষেত্রে অবশ্যই নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। মনে রাখবেন নিজে বাঁচলে আপনি আরেক জনকে বাঁচাতে পারবেন।